মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২০ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ-১ আসনের বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার প্রচারপত্র বিতরণ, গণসংযোগ, মতবিনিময় করছেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজির হোসেনের সহশর্দীনি সালমা নজির।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপির এই ৩১ দফার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সালমা নজির বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দেশ ও জাতির সমঅধিকার বাস্তবায়ন করা হবে। এসব দফা বাস্তবায়ন করা হলে রাষ্ট্রের সব সাংবিধানিক কাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে জাতিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এতে কোনো রাজনৈতিক বৈষম্য থাকবে না। স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার মধ্য দিয়ে পতিত স্বৈরাচার দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যেভাবে ধ্বংস করেছে, তা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হবে। এ জন্য তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।
নিজের স্বামীর প্রসঙ্গটেনে তিনি বলেন, আমার স্বামী নজির হোসেন সুনামগঞ্জ-১ নির্বাচনী এলাকার অর্থনৈতিক জীবনমানের উন্নয়নের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। হাওরের ফসল রক্ষায় বহুমাত্রিক আন্তরিক প্রচেষ্টা ও বাঁধে বাঁধে পথসভা জনগণের প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। যোগাযোগ, শিক্ষা, হাওর উন্নয়ন (বন্যা নিয়ন্ত্রণ, আগাম বন্যা প্রতিরোধ সহ) কৃষি, শিল্পায়ন, পর্যটন ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর চিন্তাধারার রূপকল্প সারা নির্বাচনী এলাকার চেহারা একেবারেই পাল্টে দিতে পারে। সুনামগঞ্জ—১ নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন কৌশল নিয়ে তাঁর গবেষণামূলক লেখা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পথ নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করবে। অবকাঠামো নদী খনন, অকাল বন্যা নিয়ন্ত্রণ, মৎস্য সম্পদ রক্ষা, পরিবেশ, প্রতিবেশ, জীব বৈচিত্র্য, শিল্পায়ন, পর্যটন, হাওর জীবনের বেঁচে থাকার কৌশল নিয়ে তাঁর সৃজনশীল গবেষণাধর্মী লেখনি পাথেয় হয়ে থাকবে।
তিনি পঞ্চম সংসদে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। নজির হোসেন ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর বিএনপিতে যোগ দেন। তিনি প্রথমে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে সভাপতি নির্বাচিত হন। ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। ১০ বছর সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ৫ বছর জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। আমৃত্যু সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য ছিলেন। তার দেখানো পথধরে আমার যাত্রা এ যাত্রায় আপনারাই আমার ভরসা। আপনারা সাথে থাকলে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। স্বামীর মতো এ এলাকার মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে মাঠে নেমেছি।