বুধবার, ০৯ Jul ২০২৫, ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন

শীর্ষ সংবাদ :
জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা” প্রতিফলিত হয়েছে ৩১ দফায়… এডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল বাড়ীবাড়া দিতে দেড়ী হওয়ায় ভাড়াটিযাকে তালাবদ্ধ করে রাখলেন বাড়িওয়ালা একাত্তর ও চব্বিশের পরাজিত শক্তিরা দেশের শান্তি চায় না… পাবেল চৌধুরী দিরাইয়ে আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: নিহতের পরিবারের পাশে অ্যাডভোকেট শিশির মনির সুনামগঞ্জে ‘ভয়েস অব ক্লিন সোসাইটি’র আত্মপ্রকাশ সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে মুখোমুখি বাস সংঘর্ষ মাসুম ট্রেডার্স ও আনোয়ার মিষ্টান্ন কে জরিমানা শাল্লায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু টাঙ্গুয়ার হাওরে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ দিরাইয়ে নিহত আবু সাঈদের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে শিশির মনিরের আইনি নোটিশ

দিরাইয়ে হাওর রক্ষা বাঁধের বেহাল দশা, কাজের ধীরগতি

স্টাফ রিপোর্টার::

দিরাই উপজেলার করিমপুর ও তাড়ল ইউনিয়নের বিভিন্ন বাঁধ পরিদর্শণ করে হাওর রক্ষা বাঁধের বেহাল দশা পরিলক্ষিত হয়। কাজের অগ্রগতি খুবই ধরিগতি। এভাবে কাজ করলেিএপ্রিল মাসেও বাঁধের কাজ শেষ হবে না। বিশেষ করে ক্লোজারগুলো অরক্ষিত থাকায় কৃষকের মনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কাজের গুণগত মান্য অত্যন্ত নিম্মমানের। পরিদর্শন করা তিনটি বাঁধেই ক্লোজার রয়েছে কিন্তু একটি ক্লোজারের কাজও শেষ করা হয়নি।

করিমপুর ইউনিয়নের পিআইসি নং ৮০ তে গিয়ে দেখা যায়, কাজ চলছে তবে ক্লোজারের স্লোপের কাজ হয়নি। কমিটির সভাপতি জানান, আমাকে প্রথম যে বাজেট দেওয়া হয়েছে সে অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না। দ্বিতীয় ধাপে কাজ এবং বাজেট বর্ধিত করা হয়েছে আশা করি সময়মতো কাজ শেষ করতে পারবো।

একই ইউনিয়ন ৮১ নং পিআইসিতে গিয়ে দেখা যায় এলাপাতারি ভাবে কিছু মাটি ফেলে রাখা হয়েছে। বাঁধের কাজের সাথে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। এমনভাবে মাটি ফেলে রাখা হয়েছে দেখেই বুঝা যায় এ কাজের কোন মনিটরিং নেই। বড় মাটির চাকা ফেলে রাখা হয়েছে। ক্লোজারের অবস্থাও তাই কৃষকরা মনে করছেন সামান্য বৃষ্টি হলেই এ মাটি সরে যাবে। কালনী নদীর পারহওয়ায় নদীর পনি বৃদ্ধি পেলে বাঁধের নিছ দিয়ে পানি আসবে তখন হয়তো কাকড়া বা ইঁদুরের দোষ দেবেন পাউবো কর্মকর্তারা।

তাড়ল ইউনিয়নের ৮৩ নং পিআইসিতে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের কাজ বন্ধ। এ কাজের সাথে জড়িত কেউ বাঁধে নেই। কিছু দূর দূর মাটি ফেলে রাখা হয়েছ। তবে কাজের গুণগত মান খবই খারারপ। এ বাঁধেও ক্লোজার রয়েছে এখনও ক্লোজারের কাজ শেষ হয়নি। কিন্তু গতবারের মাটি ঠিত থাকায় খুববেশ িমাটি ফেলতে হচ্ছে না। গতবারের বাঁশ থাকলেও এবারের নতুন করে কোন বাঁশের কাজ হচ্ছে না।

বাঁধগুলোতে গিয়ে দেখা যেয়, প্রতিটি বাঁধের কাজই শুরু হয়েছে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর। বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার আর মাত্র বিশ দিন বাকী থাকলেও এখানে মাটির কাজের ৪০-৩৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। বাঁধগুলোর কাজ কবে শেষ হবে কেউ জানেনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কৃষক জানান, প্রতিবছর মাঘমাসে বৃষ্টি হয় এবার বৃষ্টি না হওয়ার বাঁধের কাজ আস্তে আস্তে করা হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই বাঁধের বাজের বৃদ্ধি করা হবে। কাজ শেষ করলে তো বাজের বাড়ানো যাবে না।

তাড়ল ইউনিয়নের আরকএকটি বাঁধে গিয়ে দেখা যায়, দুজন শ্রমিক বাঁধের পাশে কিছু মাটি দিয়ে বাঁশের লাটি দিয়ে ঠিক করছেন। বাঁধে দুরমুজ করার কথা থাকলেও আপনারা বাঁশের লাটি দিয়ে কাজ করছেন কেন জানতে চাইলে তারা জানান দুরমুজ বাঁধের মালিকের বাড়িতে আছে আমাদের এভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে।

হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, এবারের বাঁধের কাজের মান খুবই খারাপ। সঠিক সময়ে কোন বাঁধের কাজ শুরু হয়নি তাই সঠিক সময়ে শেষ হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দিরাই উপজেলায় অন্যান্য বছরের ছেয়ে এ বছর কাজের ধিীরগতি ও গুণগতমান খুবই খারাপ। আমরা মনে করি দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার কারণেই এ অবস্থা। আর এ দায় কাবিকা স্কীম মনিটরিং কমিটির। এবার হাওরের কোন ক্ষতি হলে মনিটরিং কমিটিকেই এ দায় নিতে হবে। জেলা প্রশাসককে আমরা আহ্বান জানাবো বাঁধের প্রতি একটু নজর দিন। কারণসুনামগঞ্জে যে জেলা প্রশাসকের আমলে হাওরের ধান কৃষকের ঘরে উঠে তিনিই ভাল জেলা প্রশাসক। এবারের হাওরের অবস্থা খুবই নাজুক। মনিটরিং কমিটিকে কাজে লাগিয়ে জেলা কমিটির সভায় সঠিক চিত্র তুলে ধরুন। মিটিং এর রিপোর্ট আর হাওরের অবস্থ কোন ভাবেই আমরা মেলাতে পারছি না। হাওরের মাটি কলমে কাটে এটা মেনে নেওয়া হবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2025 surmapostnewsbd.com
Design & Developed BY Ohhre Technologies Limited.