মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার::
২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরীকে ধানের শীষ প্রতীকেনর প্রার্থী ঘোষণা করে সাথে তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল কে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এর পর থেকে দুই নেতা এবং সমর্থকদের মধ্যে দুরত্ব বাড়তে থাকে। সম্পর্ক এতটাই তীক্ষতায় পৌছে সংঘাত সংঘর্ষ ও হয় দুই গ্রুপের মধ্যে।
উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদলের কমিটি গঠন নিয়ে আরো কিছু উপ-গ্রুপের সৃষ্টি হয় একটির নেতৃত্ব দেন সাবেক সংসদ সদস্য বিচারপতি মিফতা উদ্দিন চৌধুরী রুমি এবং একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন লন্ডনে অবস্থানরত আলী আত্ব চৌধুরী। যে কোন কমিটি আসলেই চার নেতার অনুসারীরা স্থান পান আজকের কমিটিতেও তাই হল।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভায় দিরাই উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার সাথে সাথে দুই নেতা অতীতের সকল কিছু ভুলে গিয়ে নিজ সমর্থ কদের নিয়ে এক টেবিলে বসেন। এর আগেই সন্ধ্যায় দুই নেতার সমর্থকরা দিরাই পৌর শহরে বিক্ষোভ করে কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন।
জেলা বিএনপি কর্তৃক অনুমোদিত দিরাই পৌর বিএনপির কেমিটিতে দিরাই পৌরসভা আহবায়ক করা হয়েছে পাবেল গ্রুপের মিজানুর রহমান মিজান ১ম যুগ্ম আহবায়ক এডঃ ইকবাল হোসেন চৌধুরী ২য় যুগ্ম আহবায়ক নাছির চৌধুরী গ্রুপের আমিরুল ইসলাম, ৩য় যুগ্ম আহবায়ক নাছির চৌধুরী গ্রুপের ফারুক সরদার ৪র্থ যুগ্ম আহবায়ক মিফতা উদ্দিন চৌধুরী রুমী গ্রুপের মাইদুল ইসলাম চৌধুরী কে।
সে কমিটিতে মেনে নিতে পারছেন না নাছির উদ্দিন চৌধুরী ও পাভেল গ্রুপের নেতারা। তারা সন্ধ্যায় বিক্ষোভ করেন। পরে নাছির চৌধুরী বাসায় যান পাবেল চৌধুরী ও তার অনুসারীরা সেখানে সদস্য বিদায়ী দিরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। বলা হয় আজ মঙ্গলবার দিরাই উপজেলা ও পৌর বিএনপির সকল নেতাকর্মী বসে কমিটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। সে পর্যন্ত নেতাকর্মীকে সংযত থাকার আহ্বান জানানো হয়।