মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
দিরাই প্রতিনিধি:
গত পাঁচ দিনে উপজেলার কামান, হাতনি, কাটুয়া, বেতইর জলমহালসহ বিভিন্ন জলমহালের মাছ উচ্ছৃঙ্খল জনতা দিন দুপুরে লুট করে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের বালি বিল লুটের আয়োজন হলেও অবশেষে সেনাবাহিনী ও পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায় জলমহালের মাছ লুটেরেরা। এসময় পুলিশ তিন জন কে আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত পাঁচ-ছয় দিনে ধরে বিভিন্ন বিলের মাছ লুটের ধারাবাহিকতায় করিমপুরও আশপাশের ইউনিয়নের হাজারো জনতা শুক্রবার সকালে জড়ো হন বালিবিল লুট করতে। খবর পেয়ে, সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি বিশেষ টিম সেখানে অবস্থান নিয়ে তাদের ধাওয়া করলে উচ্ছৃঙ্খল জনতা এদিক সেদিক পালিয়ে যায়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী কঠোর হস্তক্ষেপে আপাতত রক্ষা পায় বৃহৎ জলমহাল বালিবিল। স্থানীয় শান্তি প্রিয় জনগণ উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর এমন কঠোর হস্তক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয় টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সকালেই সেনাবাহিনী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় সহ বালি বিলের পাড়ে অবস্থান নিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথ ভাবে তাদের ধাওয়া দিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেই, এসময় আমরা তিন জনকে আটক করি। এখন পর্যন্ত আর কোনো বিল লুট হয়নি। তবে কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোক বিভিন্ন জলমহাল লুটের চেষ্টায় আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সনজীব সরকার বালিবিল রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে আমরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টিম নিয়ে বালি বিলে অবস্থান করি,পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপে আমরা উচ্ছৃঙ্খল জনতা কে তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হই। আগামীতে যে কোনো অপকর্মে প্রতিহত করতে আমরা শান্তি প্রিয় জনগনকে সাথে নিয়ে মাঠে থাকবো। যে কোনো অন্যায় কাজ আমরা কঠোর হস্তে ধমন করবো, এখন এলাকার পরিবেশ শান্ত।