মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
ছাতক প্রতিনিধিঃ
ভারত থেকে চুনাপাথর আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে প্রকাশিত মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা করেছে সুনামগঞ্জের ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় অবস্থিত এলসি স্টেশন চেলা-ইছামতী ইম্পোর্টার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স এসোসিয়েশন। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে ছাতক-দোয়ারাবাজার দুই উপজেলার সংযোগস্থল ইছামতী বাজারে এসভার আয়োজন করে চুনাপাথর ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনটি।
প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, গত দু’তিন দিনে ১জাতীয় দৈনিক, ২টি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় ও ১টি অনলাইন পোর্টালে কোম্পানিগঞ্জ-ছাতক সীমান্তবর্তী সোনাই নদীতে বাঁধ দিয়ে চাঁদাবাজি “শিরোনামে প্রকাশিত হয়। উল্লেখিত সংবাদকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ হিসেবে আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদ জানান ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। ছাতক উপজেলার ইছামতী ও দোয়ারাবাজার উপজেলার চেলা এলসি স্টেশন’র চুনাপাথর ব্যবসায়ীরা চেলা ও ইছামতী ইম্পোর্টার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স এসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠনের অধিনস্থে ভারত থেকে বৈধপথে চুনাপাথর আমদানির ব্যবসা করে আসছেন। এসোসিয়েশন’র সদস্যরা বৈধ পন্থায় সরকারকে আগাম ভ্যাট/ ট্যাক্স পরিশোধের মাধ্যমে ইছামতী নদী দিয়ে চুনাপাথর আমদানির ব্যবসা করেন। শুঁকনো মৌসুমে নদীর পানি কম থাকায় সিলেট জেলাধীন কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের বিভিন্ন ক্রাশার মিলে পাথর সরবরাহ করেন তারা। এতে সোনাই নদীতে রাবারড্রাম প্রজেক্ট চালু থাকায় বোরো মৌসুমে পানি ভরাট থাকায় সোনাই নদীতে ছাতক এবং কোম্পানিগঞ্জ সীমান্তের গাংপার নামক স্থানে ব্যবসায়ীরা বিগত ৩ বছর যাবত পানিপ্রবাহের রাস্তা রেখে ডাইবেশন রোড বা অস্থায়ী বাঁধ দিয়ে থাকেন। প্রতিবছর বাঁধ নির্মানের পূর্বে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকে অবগত করে বাঁধ নির্মান করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তাদের ব্যবসা প্রসারের জন্য বার বার প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে আসছেন ব্যবসায়ী সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। ডাইবেশন রোড চালু থাকলে ব্যবসায়ীরা ভোলাগঞ্জে পাথর বেশি সরবরাহ করতে পারায় সরকার ভ্যাট ও ট্যাক্স বেশি পেয়ে থাকে এবং এলাকার শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। এই রোড দিয়ে চেলা-ইছামতী ইম্পোর্টার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স এসোসিয়েশন’র সকল সদস্যদের মতো গ্রুপের অন্যতম সদস মো: ইলিয়াস আলীও পাথরের ব্যবসা করে থাকেন। ইলিয়াস আলী, শফিক আলী মেম্বার, মখলিছুর রহমানসহ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি সংক্রান্ত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যবসায়ীদের পক্ষে ইলিয়াস আলী, শফিক আলী মেম্বার, রুস্তম আলী জানান, এখানে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করেন। চাঁদাবাজি আর ব্যবসা ভিন্ন বিষয়।
প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সেক্রেটারি বেলাল হোসেন। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সভাপতি আব্দুল হাই, সহসভাপতি ও ইউপি সদস্য শফিক আলী, সদস্য আবুল মিয়া, রুস্তম আলী, বতু মিয়া, মানিক মিয়া, জসিমউদদীন, জয়নাল মিয়া,আজিমুর রহমান, মোবারক হোসেন। এসময় স্থানীয় সবর আলী, বাহার উদ্দিন, মন্তাজ খা, নুরুল ইসলাম, সামচু মিয়া, ইছাক আলী, দুলাল আহমদ, আলমগীর হোসেন, সাদেক আলী, খুরশিদ আলম, রুপন মিয়া,শামিম আহমদ, রাহেল মিয়া, শাহিন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।