মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন

শীর্ষ সংবাদ :
জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক: আপিল শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি সাবেক সংসদ সদস্য ও শিল্পী মমতাজ গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত… নির্বাচন কমিশন দিরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে  শিশির মনিরের অর্থ সহায়তা প্রদান  ছাত্রলীগের পর এবার নিষিদ্ধ হল আওয়ামী লীগ মোংলা উপজেলা হাসপাতাল ১০০ শয্যা করার দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশমোংলা থেকে মোঃ নূর আলম:: দিরাইয়ে যুবলীগ নেতা সোহেল চৌধুরী গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি শামীমা ও শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব বিটু গ্রেপ্তার আপনারা ভাল ফুটবলার দিন, আমি তার সব দায়িত্ব নেব… শিশির মনির দিরাইয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেফতার

মধ্যনগর উপজেলায় ৬০ গ্রামের শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত

সাইফ উল্লাহ, স্টাফ রিপোর্টার::

সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের রাজধানী নামে খ্যাত মধ্যনগর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ১৪৪টি গ্রাম রয়েছে। এসব গ্রামের ৮৪টিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও ৬০টি গ্রাম বিদ্যালয়হীন। গ্রামে শিক্ষার সুযোগবঞ্চিত ও ঝরে পড়া কোমলমতি শিশুর সংখ্যা দুই সহস্ররাধিক।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজার ৫৩৫। এর মধ্যে ঝরে পড়া শিশুর হার ৮.০৫ শতাংশ। জানা যায়, উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নে ১৮ টি, বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে ১৪টি, মধ্যনগর ইউনিয়নে ১২টি ও চামরদানী ইউনিয়নে ১৬টি গ্রামে নেই কোনো বিদ্যালয়।

এদিকে ৬০ গ্রামে স্কুল না থাকায় ঝরে পড়া শিশুর সংখ্যা বেড়ে তারা ক্ষেত-খামারে, স্থানীয় হাট-বাজারের হোটেল-রেস্তরাঁয় এমনকি হাওরে মাছ ধরার কাজে জড়িয়ে পড়ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার ৮৪টি বিদ্যালয়ে  ৩৫৯ জন সহকারী শিক্ষক ও ৫৪ জন প্রধান শিক্ষক রয়েছেন। শূন্য রয়েছে প্রধান শিক্ষকের ৩০টি ও সহকারী শিক্ষকের ২৭ টি পদ।

মধ্যনগর উপজেলার বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মমিনুল হক বেনু বলেন, আমরা হাওরাবাসী এই মধ্যনগর উপজেলায় ৬০ টি গ্রামে স্কুল নেই, এতে করে কোমল মতিন শিশুরা লেখা পড়া বাদ দিয়ে বিভিন্ন পেশায় ঝুকছে, বর্ষায় নৌকা, হেমান্তে অটো, কৃষিকাজে সহ গবাদী পশু পালনে জরিত রয়েছে। অচিরেই প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা জরুরী বলে মনে করি। 

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুই হাজার জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করার বিধান রয়েছে। এখানে প্রতিটি গ্রাম ছোট ও বিচ্ছিন্ন এবং জনসংখ্যা কম থাকায় বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রতিবেদন পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যালয়বিহীন ৮ গ্রামে স্কুলের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবরে ইতোপূর্বে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। করোনা মহামারির পর থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে সব শিক্ষকের প্রতি ঝরে পড়া রোধ করতে, সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া আছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লাল মোহন দাস বললেন, এই মুহুর্তে নতুন বিদ্যালয় স্থাপনের সুযোগ নেই, তবে পরবর্তীতে সরকার বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে নতুন বিদ্যালয় স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করলে, দুর্গম হাওরাঞ্চল বিবেচনায় মধ্যনগর উপজেলা অগ্রাধিকার পাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2025 surmapostnewsbd.com
Design & Developed BY Ohhre Technologies Limited.