মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৬:৫২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে মিটার রিডার কাম-ম্যাসেঞ্জার পদে চাকুরির জন্য এমসিকিউ পরীক্ষায় কৌশলে ডিভাইস ব্যবহার করে উত্তর লেখার সময় ১২০ জন পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। এদের অনেকেই একটি বিশেষ সিন্ডিকেটের সঙ্গে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে দুই তিন লাখ টাকা পরিশোধও করেছিল বলে জানা গেছে। তবে এদেরকে আটক করা হয় নি। সিন্ডিকেটের তথ্যও উদ্ধার হয় নি। শুক্রবার বিকাল চারটায় সুনামগঞ্জ শহরের পাঁচটি নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চুক্তিভিত্তিতে ২৫ জন মিটার রিডার কাম-ম্যাসেঞ্জার নিয়োগের এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল । শহরের পাঁচটি কেন্দ্রে ১৩শ’ আগ্রহী অংশ নেয় পরীক্ষায়। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজ, সুনামগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজ, এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়, উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
৬০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় সময় ছিল ৫০ মিনিট। এই সময়ের মধ্যেই হলে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষকরা বুঝতে পারেন কোন কোন শিক্ষার্থী বিশেষ ডিভাইস ব্যবহার করে উত্তরপত্র পূরণ করছে। পরে ডিভাইসসহ হাতে নাতে ধরে পাঁচ কেন্দ্রে ১২০ জন নিয়োগ পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়। সবচেয়ে বেশি বহিস্কার হয় এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের ২৬৯ জন নিয়োগ পরীক্ষার্থীর ৫৬ জন বহিস্কার হয়।
এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইনচান মিঞা বলেন, বহিস্কৃত নিয়োগ পরীক্ষার্থীদের তারা আটক রেখে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি আবুল কালাম জানালেন, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় বহিস্কৃত সকলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।