শনিবার, ১৪ Jun ২০২৫, ০৭:২৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার::
লোকায়ত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো তিনদিনব্যাপী যাত্রা পালা উৎসব। শহরের হাছন রাজা মিলনায়তনে ২৮, ২৯ ও ৩০ মে প্রতিদিন সন্ধ্যায় দর্শকনন্দিত যাত্রাপালা মঞ্চস্থ হয়।
উৎসবের উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। উদ্বোধনী দিনে ‘বাংলাদেশ যাত্রা শিল্প উন্নয়ন পরিষদ’ মঞ্চস্থ করে ‘দেবী সুলতানা’। দ্বিতীয় দিন মঞ্চে ওঠে মোহনগঞ্জের ‘নবযুগ অপেরা’-র ‘প্রেমের সমাধি তীরে’। শেষ দিন পরিবেশিত হয় কাজলী রানী সাহার নির্দেশনায় ‘মহাদের নাট্য সংস্থা, দিরাই’-এর ‘জেল থেকে বলছি’।
প্রতিদিন সন্ধ্যায় মিলনায়তনে উপচে পড়া দর্শকদের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে-যাত্রা শিল্প এখনো দর্শকদের হৃদয়ে স্থান ধরে রেখেছে। বিশেষ করে শেষ দিনের প্রদর্শনীতে হলভর্তি দর্শক করতালির মাধ্যমে অভিনয়শিল্পীদের প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করেন।
যাত্রা শিল্পীরা হাস্যরস, আবেগ ও নাটকীয় উপস্থাপনার মাধ্যমে দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছেন। দর্শকরা উপভোগ করেছেন একান্ত গ্রামীণ আবহে মোড়া ভিন্নধর্মী সন্ধ্যা।
এক সময়ের জনপ্রিয় যাত্রাশিল্পী সিরাজুল ইসলাম পলাশ বলেন, “এক সময় গ্রামবাংলার অন্যতম বিনোদন ছিল যাত্রা। এখন তা প্রায় বিলুপ্তির পথে। সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।”
সাংবাদিক কর্ণবাবু দাস বলেন, “শিল্পীদের অভিনয় প্রশংসনীয় হলেও পোশাকের অভাব ছিল। বাহারি পোশাক যাত্রা শিল্পের একটি বড় আকর্ষণ, যা দর্শকদের বাড়তি আনন্দ দেয়।”
এই আয়োজন প্রমাণ করে, সঠিক উদ্যোগ ও পরিকল্পনা থাকলে লোকজ সংস্কৃতির এই ঐতিহ্যবাহী ধারাকে আবারও জনপ্রিয় করা সম্ভব।