বুধবার, ০৯ Jul ২০২৫, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন
“সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি”-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খুলনায় অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের আরও সক্রিয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে এবং এফসিডিও’র অর্থায়নে মাল্টি স্টেকহোল্ডার ইনিশিয়েটিভ ফর পিস অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি (এমআইপিএস) প্রকল্পের আওতায় হেলাতলার একটি হোটেলে আয়োজিত এই সভায় খুলনার বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ-এর রিজিওনাল কোঅর্ডিনেটর মাসুদুর রহমান রঞ্জু। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে পারে বলেই তারা এই উদ্যোগের অন্যতম প্রধান অংশীদার।
প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ-এর ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. নাজমুন নাহার নুর বলেন, “রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতা চিহ্নিত ও প্রতিরোধ করে সহনশীলতা ও সম্প্রীতি জোরদার করাই এমআইপিএস-এর মূল উদ্দেশ্য। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ২৭টি জেলার ৭৪টি উপজেলায় কাজ চলছে।” তিনি আরও জানান, সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা ও সম্প্রীতির বার্তা সম্প্রচারে ভূমিকা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই মতবিনিময় সভার আয়োজন।
খুলনা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এনামুল হক বলেন, “গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারলে শান্তি রক্ষায় সাংবাদিকরা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।”
দৈনিক মানবজমিনের সাংবাদিক রাশিদুল ইসলাম বলেন, “শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় রাজনৈতিক দল, প্রশাসন ও জনগণের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। নিয়মিত সংলাপ আয়োজনের মাধ্যমে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও আস্থা বৃদ্ধি করা সম্ভব।”
এনটিভির সাংবাদিক আবু তৈয়ব এমআইপিএস প্রকল্পে মাদক ও কিশোর গ্যাং সংক্রান্ত বিষয় যুক্ত করার পরামর্শ দেন।
মতবিনিময় সভা থেকে আরও উঠে আসে-তথ্যভিত্তিক সাংবাদিকতা, সংঘাত বিশ্লেষণভিত্তিক গবেষণা, সাংবাদিকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং তথ্য যাচাইয়ের ওপর জোর দেওয়ার প্রস্তাবনা।
সভাটি সঞ্চালনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ-এর এরিয়া কোঅর্ডিনেটর রাজু জবেদ।
সভায় উপস্থিত সাংবাদিকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সাংবাদিকতা পেশার দায়িত্বশীল চর্চার মাধ্যমে তারা সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা আরও জোরালোভাবে তুলে ধরতে সচেষ্ট থাকবেন।