বুধবার, ০৯ Jul ২০২৫, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন

শীর্ষ সংবাদ :
জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা” প্রতিফলিত হয়েছে ৩১ দফায়… এডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল বাড়ীবাড়া দিতে দেড়ী হওয়ায় ভাড়াটিযাকে তালাবদ্ধ করে রাখলেন বাড়িওয়ালা একাত্তর ও চব্বিশের পরাজিত শক্তিরা দেশের শান্তি চায় না… পাবেল চৌধুরী দিরাইয়ে আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: নিহতের পরিবারের পাশে অ্যাডভোকেট শিশির মনির সুনামগঞ্জে ‘ভয়েস অব ক্লিন সোসাইটি’র আত্মপ্রকাশ সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে মুখোমুখি বাস সংঘর্ষ মাসুম ট্রেডার্স ও আনোয়ার মিষ্টান্ন কে জরিমানা শাল্লায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু টাঙ্গুয়ার হাওরে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ দিরাইয়ে নিহত আবু সাঈদের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে শিশির মনিরের আইনি নোটিশ

দিরাইয়ে নিহত আবু সাঈদের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে শিশির মনিরের আইনি নোটিশ

স্টাফ রিপোর্টার::

সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে এক সাধারণ নাগরিক আবু সাঈদের (৩৩) মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের পুনর্বাসনের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সাতটি দপ্তরে আইনি নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

এই আইনি নোটিশটি দিয়েছেন, দিরাই-শাল্লা আসন থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি নোটিশে উল্লেখ করেন, গত ২২ জুন ২০২৫ তারিখে জগন্নাথপুর উপজেলার গাদিয়ালা গ্রামে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। তিনি পেশায় একজন সহকারী ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন এবং ঘটনার সময় চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় এক বাড়িতে বিদ্যুতের কাজ করছিলেন। নিহত আবু সাঈদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা, অভিযোগ বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সংশ্লিষ্টতা ছিল না বলেও দাবি করা হয়েছে।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে কারফিউ জারি করে সেনাবাহিনী এলাকাটি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং পরিবারকে রাতভর মৃতদেহের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। পরদিন সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে নিহতের ভাই গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-১৮, তারিখ: ২৬/০৬/২০২৫), যা এখনো তদন্তাধীন।

শিশির মনির বলেন, “একজন নিরীহ নাগরিক রাষ্ট্রীয় অভিযানে প্রাণ হারানো মানে শুধু একটি জীবন নিভে যাওয়া নয়, বরং আইনের শাসন ও নাগরিক অধিকার নিয়ে গভীর প্রশ্নের জন্ম।” তিনি আরও জানান, “নিহতের পরিবার চরম মানসিক ও আর্থিক সংকটে পড়েছে। তাই মানবিক ও আইনগত দিক বিবেচনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসন অপরিহার্য।”

তিনি নোটিশে তিনটি প্রধান দাবি তুলে ধরেন: বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন, পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং. স্ত্রী, সন্তান ও মায়ের পুনর্বাসনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।

নোটিশপ্রাপ্ত সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশ, সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, জগন্নাথপুর থানা ও দিরাই থানা। শিশির মনির জানান, নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে উল্লেখিত পদক্ষেপ গ্রহণ না হলে, সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্টে রিট দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই ঘটনার ন্যায়বিচার ও রাষ্ট্রের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তিনি সরকারের দায়িত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যাশা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2025 surmapostnewsbd.com
Design & Developed BY Ohhre Technologies Limited.