বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
শাল্লা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে শাল্লা থানা পুলিশ। গতকাল রাতে উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ সময় ধরে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা সবাই কামারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন: মোঃ হারুন মিয়া (৫৫), মোঃ আকাশ মিয়া (২০), সাজিদুল মিয়া (৩২), মোঃ কবির মিয়া (২৮), মাহফুজ মিয়া (১৯), মোঃ সোলেমান মিয়া (৩৫), এবং জসিম মিয়া (৩৫)।
জানা গেছে, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরি করে আসছিল। এর আগে শাল্লা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জামান চৌধুরী ফুল মিয়ার বাড়ি, মেধা গ্রামের আহাদ নুর মিয়ার বাড়ি, কাশীপুরের মনির মিয়ার বাড়ি, মনুয়া গ্রামের আবু তাহেরের ঘরসহ প্রায় ৩০-৪০টি ঘরে চুরির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছিল।
গণমাধ্যমে ‘চোর আতঙ্কে হাওর পাড়ের মানুষ’ শিরোনামে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর তৎপর হয়ে ওঠে শাল্লা থানা পুলিশ। এরপরই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযান পরিচালনা করে চক্রটির সদস্যদের আটক করে।
এছাড়াও, গত রাতে কালনী ব্রিজ এলাকার সরঞ্জাম চুরি করতে গিয়ে আরও দু’জন চোরকে আটক করেন স্থানীয় জনতা। তারা হলেন শাল্লা গ্রামের গোলাম হোসেন ফকিরের ছেলে আবুল বাশার (২৫) এবং সেননগর এলাকার হাদিস মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৪)। তাদের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা দায়ের করে জেল হাজতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ অবস্থায় জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিরাই-শাল্লা আসন থেকে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে প্রতিকার চেয়েছেন।
শাল্লা থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, “থানায় স্বল্প জনবল থাকলেও আমরা নিয়মিত টহল ও অভিযানের মাধ্যমে চুরি নির্মূলে কাজ করছি। গ্রেফতারকৃতদের সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযানে একটি নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে এবং চোর চক্রের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
চলমান এই অভিযান স্থানীয়দের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরিয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়মিত নজরদারি ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছেন এলাকাবাসী।