বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস জেলা সদরেই স্থাপনের দাবি জানিয়ে মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেছেন-“এটি শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং সুনামগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবি ও স্বপ্নপূরণের প্রতীক।”
সোমবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় অংশ নেন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস জেলা সদরে স্থাপন আন্দোলন কমিটি-র নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন না থাকায় শিক্ষার্থীদের গণপরিবহন ব্যবহার করতে হয়। একাধিকবার বাসচালকদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি ও মারধরের মতো ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া মানসম্মত লাইব্রেরি, আবাসিক হল এবং একাডেমিক ভবনের অভাবে শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অনেক শিক্ষার্থী সুনামগঞ্জ শহরে মেস করে ভাড়া থাকলেও এটি আর্থিকভাবে যেমন ব্যয়বহুল, তেমনি নিরাপত্তারও অভাব রয়েছে।
অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) ব্যবহারের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, আইএইচটির স্থাপনা, পরিবেশ এবং সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট উন্নত। এখানে ক্লাসরুম, হোস্টেল এবং প্রশাসনিক ভবন একত্রে থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা অনেক সহজ হতো। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা স্থানীয়ভাবে টিউশনি ও পার্টটাইম কাজের সুযোগও পেতো।
বক্তারা আরও বলেন, হাওর এলাকায় বিশাল ক্যাম্পাস স্থাপন করলে হাওরের প্রাণবৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়বে। পরিবেশ সুরক্ষা ও সমন্বিত উন্নয়নের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস জেলা শহরের আশেপাশে স্থাপন করাই উত্তম হবে বলে মত দেন তারা।
বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণ নিয়ে চলমান বিভ্রান্তি নিরসনে প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষামন্ত্রী ও ইউজিসি চেয়ারম্যানের সদয় দৃষ্টি কামনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) ভবন কয়েক বছরের জন্য ব্যবহারযোগ্য হতে পারে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।”
তিনি বলেন, “জেলার উন্নয়ন ও শিক্ষার মানোন্নয়নে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় অপরিহার্য। জেলা শহরের কাছাকাছি ক্যাম্পাস হলে এর সুফল ছাত্র-ছাত্রীসহ পুরো জেলার মানুষ পাবে।”