বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার প্রত্যন্ত হাওর-বেষ্টিত কাইমা গ্রাম থেকে উঠে আসা মোঃ শাহিনুর রহমান এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। হাওরের জীবনসংগ্রামের প্রতীক হয়ে ওঠা এই তরুণ শুধু নিজের স্বপ্ন নয়, বহন করছেন গ্রামের, উপজেলার, জেলার এবং গোটা হাওরবাসীর প্রত্যাশা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহিনুর রহমান বলেন, “ডাকসুকে বলা হয় দেশের দ্বিতীয় পার্লামেন্ট। আমি গর্বিত যে সুনামগঞ্জের মতো প্রান্তিক অঞ্চল থেকে উঠে এসে এমন একটি জাতীয় পর্যায়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। ডাকসুর মতো প্লাটফর্মে আমার জন্মস্থান কাইমা, দিরাই ও পুরো সুনামগঞ্জকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমার জীবনের এক বিশাল অর্জন।”
ছাত্ররাজনীতির প্রতি তার আগ্রহ অনেকদিনের। শাহিনুর জানান, “আমি স্কুল জীবন থেকেই ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথে যুক্ত। শিবিরের সহপাঠ্য কার্যক্রম, সমাজসেবা, ছাত্রদের নৈতিক গঠনমূলক কাজে আমি সক্রিয় ছিলাম এবং এখনও আছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার থেকেছি।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্রলীগের দখলদারিত্বের কারণে আমরা হল জীবন থেকে বঞ্চিত হয়েছি। তবুও আমি মাথা নত করিনি। শিবিরের মতো একটি আদর্শিক সংগঠনের অংশ হতে পেরে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। হাওরের সন্তান হিসেবে, আমি বিশ্বাস করি যে নেতৃত্ব মানে শুধু চেয়ারে বসা নয়, বরং দায়িত্ব, আত্মত্যাগ এবং মানুষের পাশে থাকা।”
দিরাই, কাইমা এবং গোটা সুনামগঞ্জ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন জানিয়ে শাহিনুর বলেন, “আমার প্রতি এলাকার মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা আমাকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জোগায়। আমি চাই, আমার এই পথচলা যেন কাইমার প্রতিটি কিশোর-যুবকের স্বপ্নকে উজ্জীবিত করে।”
ডাকসু নির্বাচনে তার এই অংশগ্রহণ শুধুই একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, এটি যেন হয়ে উঠেছে হাওরের সন্তানদের জন্য নতুন এক দিগন্তের দরজা। শাহিনুর রহমান প্রমাণ করছেন-প্রান্তিকতা কোনো বাধা নয়, সংকল্প থাকলে হাওরের সন্তানও জাতীয় নেতৃত্বের মঞ্চে জায়গা করে নিতে পারে। এর আগে জাতীয় রাজনীতিতে হাওরের সন্তানেরা রাজত্য করেছেন আমরা রাজনীতির মাঠে সুনামগঞ্জের অতীথ ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই।