বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী ডিজিটাল সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির দ্বিতীয় ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকাল ৪টায় পিআইবির সেমিনার কক্ষে আলোচনা সভা ও সনদ বিতরণের মাধ্যমে এর সমাপ্তি ঘটে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ও সাংবাদিক নেতা শফিকুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন পিআইবির পরিচালক (প্রশাসন) কাজী মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার, সিনিয়র রিসার্চ অফিসার গোলাম মুর্শেদ, ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. জামিল খান, পিআইবির প্রশিক্ষক মোহাম্মদ শাহ্ আলম, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি ও জুলাইযোদ্ধা সাংবাদিক আল হেলাল, দৈনিক জনতা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল হালিম এবং সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি আফতাব উদ্দীন।
দ্বিতীয় ধাপে অংশগ্রহণকারী ও প্রশিক্ষকবৃন্দ
গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় দ্বিতীয় ধাপের উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারজানা মাহবুবা। তিনদিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে গণঅভ্যুত্থানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আহত ২৭ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি নাজিয়া আফরিন মনামী, ফ্যাক্টওয়াচের ফ্যাক্টচেকার রিদওয়ান ইসলাম, ব্র্যাকের কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট শাফাত রহমান ও পিআইবির প্রশিক্ষকবৃন্দ।
বক্তৃতায় গুরুত্ব পেয়েছে গুজব প্রতিরোধ ও ইতিবাচক সাংবাদিকতা
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “সাংবাদিকদের গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে কলমের শক্তি ব্যবহার করতে হবে। তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন, ফিচার ও ইতিবাচক সাংবাদিকতা দিয়ে ভুয়া তথ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখতে হবে।” তিনি বলেন, “জুলাই আন্দোলনের সময় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কার্যকর ভূমিকা ভবিষ্যতের সাংবাদিকতাকে আরও গতিশীল করে তুলবে।”
পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, “জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো মূল্যে অপতথ্য প্রতিরোধ করতে হবে। এআই বা ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ালে, সাংবাদিকদের দায়িত্ব হবে সত্য প্রতিষ্ঠা করা।”
সচিবের বক্তব্যে কৃতজ্ঞতা ও উৎসাহ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফারজানা মাহবুবা বলেন, “জুলাই বিপ্লবীদের কারণেই আমি সচিব হতে পেরেছি। এ আন্দোলন দেশের বৈষম্য দূরীকরণে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে। সাংবাদিকদের উচিত ডিজিটাল সাংবাদিকতায় দক্ষতা বাড়িয়ে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা।”
সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় আইনি উদ্যোগের দাবি
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুনামগঞ্জের জুলাইযোদ্ধা সাংবাদিক আল হেলাল বলেন, “সত্য সংবাদ প্রকাশের কারণে যাতে আর কোনো গণমাধ্যম বা সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার না হন, সে জন্য গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করে আইন প্রণয়ন জরুরি।” তিনি আরও বলেন, “মোবাইল জার্নালিজম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম অতীতেও সরকারের ব্যর্থতা প্রকাশে ভূমিকা রেখেছে, ভবিষ্যতেও তা বজায় রাখতে হবে।”
সমাপনীতে সনদ বিতরণ
শেষে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া সাংবাদিকদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন প্রধান অতিথি শফিকুল আলম।