সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন
সাইফ উল্লাহ::
সুনামগঞ্জ (ধর্মপাশা-জামালগঞ্জ-মধ্যনগর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মাহবুবুর রহমান নারীদের নিয়ে উঠান বৈঠক করেছেন। শনিবার ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নোয়াবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে নারীদের মধ্যে ভোট ও সচেতনতামূলক বার্তা তুলে ধরেন তিনি।বৈঠকে মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, “গত ১৭ বছরে শুধু পুরুষ নয়, নারীরাও নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নারী হলো মা, বোন – তাদের সম্মান করতে হবে। ভোটের অধিকার নারী-পুরুষ সমান। তারেক রহমানের নেতৃত্বে হাওরের জলবদ্ধতা দূর, রাস্তাঘাট উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে মানোন্নয়ন এবং নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে চাই। আমি আপনাদের সেবক হতে চাই, আজীবন আপনাদের পাশে থেকে জনকল্যাণমূলক কাজ করতে চাই।” তিনি আরও বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা নিয়মিতভাবে লিফলেট বিতরণ, উঠান বৈঠক ও নির্বাচনী গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় নারীদের সচেতন করে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।” উঠান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ধর্মপাশা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শওকত আলী বেপারী, উপজেলা বিএনপির সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুল হক, সাবেক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুস সালাম শিকদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, শাহ আলম প্রিন্স, যুবদল নেতা সোহেল তাজ, কবির আহমেদ, সদর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ওমর ফারুক রুবেল, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সারোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাম্মেল শিকদার, সেলবরষ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আহম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সুখাইর রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ, ছাত্রদল নেতা তানভির আহমেদ, রাজু আহমেদ, আরিফ হোসেন, ধর্মপাশা সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুর রহমান বাদল, বর্তমান আহ্বায়ক তুষার খন্দকার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো: সাদ্দাম হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক কাওসার আহমেদসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, এ ধরনের নারীকেন্দ্রিক উঠান বৈঠক এই এলাকায় আয়োজন করলেন মো: মাহবুবুর রহমান, যা স্থানীয়ভাবে প্রশংসিত হয়েছে।