সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন
Oplus_16908288
নিজস্ব প্রতিবেদক::
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মৃত্যুবরণকারী সিলেটের বিশিষ্ট নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেট শাখার সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরীর স্মরণে নাগরিক শোকসভা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫ অক্টোবর। ওইদিন বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ নজরুল একাডেমিতে এই শোকসভা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে গত ১৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় নজরুল একাডেমিতে সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট নাগরিকদের এক প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নাগরিক শোকসভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং অ্যাডভোকেট বেদানন্দ ভট্টাচার্যকে আহ্বায়ক ও নাগরিক সংগঠক আব্দুল করিম চৌধুরী কিমকে সদস্য সচিব করে ৬ সদস্যের একটি আয়োজক কমিটি গঠন করা হয়। প্রস্তুতিসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক, বিশিষ্ট আইনজীবী ইরফানুজ্জামান চৌধুরী, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের প্রধান পরিচালক শামসুল বাসিত শেরো, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব খায়রুল হাছান, আনোয়ার হোসেন সুমন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গোলাম সোবহান চৌধুরী, সিরাজ আহমদ, অ্যাডভোকেট হুমায়ুন রশিদ সোয়েব, নাজিকুল ইসলাম রানা, সঞ্জয় কান্ত দাস, হরি ধন দাশ, আবুল মুঈদ চৌধুরী, আবির খান, মাশরুখ জলিল, আয়শা আক্তার, মেহেদি হাসান, শারমিন আক্তার, তসলিমা আক্তার প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, ফারুক মাহমুদ চৌধুরী ছিলেন সিলেটের নাগরিক আন্দোলনের এক নির্ভীক কণ্ঠস্বর ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতীক। তাঁর জীবন, কর্মকাণ্ড ও আদর্শ আগামী প্রজন্মের নাগরিক সমাজের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আসন্ন শোকসভায় ফারুক মাহমুদ চৌধুরীর বন্ধু, সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সিলেটের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে উপস্থিত থেকে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আহ্বান জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারুক মাহমুদ চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন। পরে সেখানেই তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। সামাজিক আন্দোলনের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে ফারুক মাহমুদ চৌধুরী ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেট শাখার সভাপতি এবং টিআইবির সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-এর দুই মেয়াদের সভাপতি। ব্যবসায়ী হিসেবে ‘সিলেট বিজনেস কাউন্সিল’-এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের আমলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের নেতৃত্বে শূন্যতা দেখা দিলে তিনি প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করে সংগঠনকে সক্রিয় করেন। তিনি স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে গণমাধ্যমে বিশ্লেষকের ভূমিকা পালন করতেন নিয়মিত। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর পুত্রদ্বয় বর্তমানে নিউইয়র্কে প্রবাসী।